নতুন সংবিধান ও রাষ্ট্রব‍্যবস্থা চাই। 4

আসসালামুওয়ালাইকুম

(নতুন সংবিধান ও রাষ্ট্রব‍্যবস্থা চাই।) 4

নদী মাতৃক বাংলাদেশের সংবিধান এ নদীর সুষ্ট  নীতিমালা চাই। নদী বাংলাদেশের  বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ অস্ত্র। যা আমাদের  বিরুদ্ধে মাঝে মধ‍্যে ব‍্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা তা বুঝতে পারি না। তাই বাংলাদেশে এই মর্হুতে নদী ব‍্যবস্থাপনা কমিশন গঠন করতে হবে। যারা এই বিষয়ে  অভিজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক  নদী বিষয়ে  যথেষ্ট অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। তাদের নিয়ে  গঠিত হতে হবে। তার সঙ্গে  যাদের আছে দেশ প্রেম ও জাতীয়তাবাদ বা রক্ষনশীল ব‍্যক্তি। আমরা স্বাধীনতার দীর্ঘ 53 বছরে নদী নিয়ে  মাথা উচু করে দাড়াতে পারিনি। আমরা পদে পদে বন্চিত হচ্ছি আমাদের অধীকার থেকে। আর সময়  নষ্ট করা চলবে না। এখনি নেমে পড়তে হবে পরিকল্পনা করে।


প্রথমে আমাদের 54 নদী গুলো কে ভাগ করে নেই। সেই হিসাবে আন্তর্জাতিক আদালতে  শুষ্ক  মৌসুমে পানির ন‍‍্যায হিস‍্যা আদায় করা বা অধিকার  এর মামলা হবে। বর্ষাকালে বাধের যৌথ নিয়ন্ত্রণ। কখন কি ভাবে পানি ছাড়লে বন‍্যার ঝুকি কম  থাকবে। কেবল মাত্র তারা বলে দিল আমরা পানি ছাড়ব তাতে সমাধান হবেনা। আমাদের নদের ধারন ক্ষমতা অনুযায়ী  ছাড়তে হবে। আর এ সব কাজ যৌথ নদী কমিশনের।


রাজ‍্য ভিত্তিতে  নদী গুলোকে ভাগ করে নিতে হবে।


পশ্চিম বাংলা  সীমানা যুক্ত নদী:


1. ফারাক্কা/ গঙ্গা /পদ্মা।


2. গোজলডোবা/তিস্তা/ ধরলা
3. আত্রাই/পূর্নভবা/টাঙন করতোয়া এ ছাড়া এর আশেপাশে।
আসাম সীমানা যুক্ত নদী:
4. বরাক / কুশিয়ারা /সুরমা ও অন‍্যান‍্য নদী
ত্রিপুরা সীমানা যুক্ত নদী:
5. গোমতি এর আশে পাশে।
‌6.ফেনি
‌     মিজোরাম সীমান্ত যুক্ত নদী:
6  /মহুরীসহ  অন‍্যান‍্য। রাজ‍্য ও নদীর অবস্থা  বুঝে 6 টি গ্রুপে  মামলায় 54 নদীর স্থান হবে।
সেই সঙ্গে  আমাদের সর্বোচ্চ  প্রযুক্তি ব‍্যবহার করে চীনের সর্বাত্বক  সহযোগিতা  নিয়ে দ্রুত বন‍্য নিয়ন্ত্রণ  করা। যেমন চিন তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন  করতে চেয়েছিল। তিস্তা অববাহিকার দু পাশে বাধ দিয়ে এরং নদীর গভীরতা বৃদ্ধি করে। বন‍্যামুক্ত করা। সেই সঙ্গে  দু পাড়ে সেটেলাইট শহর ও শিল্প অন্চল তৈরী করা। যাতে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্ম সংস্থান হবে। কিন্তু হাসিনা সরকার কি বলল। পানি ভারত দিবে তাই কাজ তারা করবে। কিন্তু এটা বুঝল না যারা 53 বছরে পানি দিল না তারা কি পানি দিবে।  ভারতের যে বড় পরিকল্পনা আছে যমুনার পানি তার গঙ্গায় নিবে। আর গঙ্গা  কাবেরী প্রকল্প বাস্তবায়ন  করবে। কিন্তু আমাদের সে পথে পা দেয়া চলবে না। তাইতো চায়না কে কাজ দেওয়া উচিত।
এতে যদি প্রতিবেশির  সঙ্গে  দ্বন্দ্ব বাধে তার জন‍্য প্রস্তুতি নেওয়া। সব মিলিয়ে  একটি পরোক্ষ যুদ্ধ। নামতে হবে যুদ্ধ জয়ের জন‍্য কোন আপোষ  নয়। এবারের কুমিল্লা ফেনী, নোয়াখালী  লক্ষীপুর চাদপুরে যে বন‍্যা তা পুরাটাই পরিকল্পিত ও কৃতিম। পানিতে ডুবিয়ে মারার চক্রান্ত।
সঙ্গে সঙ্গে  আমাদের আভ্যন্তরীণ  নদী ব‍্যবস্থাপনা বাধ, নদী খনন,  উন্নয়ন  ও নদী পথের উত্তম ব‍্যবহার।
সব মিলিয়ে একটি স্বাধীন  নদী কমিশনের আন্তর্জাতিক  ও আভ্যন্তরীণ কর্ম পরিকল্পনা। যা আমেদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে।

মো: সিরাজুল ইসলাম 
বিএসসি অনার্স
এমএসসি গনিত
এমবিএ
এল এল এম





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাংলাদেশের বিভাগগুলোর পুর্নবিন্যাশ করা জরুরী।

কানাডা এখন বাংলাদেশীদের জন্য স্বপ্নের দেশ।